ইয়াছিন আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটি পাড়া ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া থেকে নোয়াপোসকনি পর্যন্ত প্রায় ১২০০ মিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ থাকলেও সংস্কার কাজ অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রাখায় সড়কটি এখন খানাখন্দ, গর্ত ও কাদা-পানিতে ভরপুর। ফলে স্থানীয় জনগণ, পথচারী ও যানবাহন চালকরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন আগে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও তা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি কাদা-পানিতে তলিয়ে ছোট খালের মতো হয়ে যায়। আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালির কারণে যাতায়াত আরও কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মাসের পর মাস জনদুর্ভোগ চলছেই।
স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বর্ষায় কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়, আর শুকনো মৌসুমে ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়।
পথচারীরা অভিযোগ করে বলেন, রোগী ও বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালে নেওয়া এখন সবচেয়ে কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ভূঁইয়া ট্রেডার্সের ঠিকাদার সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া কাজ শুরু করলেও অজানা কারণে তা শেষ করেননি। দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখায় সড়কের অবস্থা আরও করুণ রূপ ধারণ করেছে।
নোয়াপোসকনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাকিল বলেন, রাস্তার বেহাল দশার কারণে জনগণ সত্যিই দুর্ভোগে আছেন। আমরা বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমি চাই দ্রুততম সময়ে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হোক।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাসেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একইভাবে ঠিকাদার সফিকুল ইসলামকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
তবে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমান বলেন,আমরা বিষয়টি অবগত আছি। ইতোমধ্যে এলজিইডি ও ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকার সাধারণ মানুষ দাবি করেছেন, অবিলম্বে সড়কটির কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং ঠিকাদারের গাফিলতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।